সুদান সরকারের জন্য এএসডি টাগবোট রপ্তানির নতুন কার্যাদেশ পেয়েছে চট্টগ্রামভিত্তিক জাহাজ নির্মাণকারী প্রতিষ্ঠান এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড। সর্বাধুনিক প্রযুক্তির এই টাগবোটের রপ্তানিমূল্য ৪৮ মিলিয়ন এইডি (আরব আমিরাত দিরহাম) বা ১১০ কোটি টাকা।
এফএমসি ডকইয়ার্ডের চেয়ারম্যান এবং সিইও মোহাম্মদ ইয়াছিন চৌধুরী বলেন, ‘ক্লাসিফিকেশন সোসাইটি কর্তৃক ড্রইং এবং ডিজাইন অনুমোদনসাপেক্ষে আশা করছি আগাগী ১৫ দিনের মধ্যে এই টাগবোর্ড নির্মাণকাজ শুরু হবে। কেবল ইউরোপ-আমেরিকা বা মধ্যপ্রাচ্য নয়, আফ্রিকাতেও যে বাংলাদেশি জাহাজের নতুন বাজার সৃষ্টি হতে পারে সেটা প্রমাণের একটা তাগিদ ছিল। তাই বাংলাদেশ থেকে সুদানে প্রথমবারের মতো জাহাজ রপ্তানি করার সুযোগ পেয়ে আমরা গর্বিত।’
তিনি আরো বলেন, করোনায় দেশি ও বৈশ্বিক বাণিজ্যে যে স্থবিরতা ছিল, তা আস্তে আস্তে কাটিয়ে উঠছে বাংলাদেশ। করোনাকালীন বিভিন্ন শিল্পপ্রতিষ্ঠানের জন্য সরকার গৃহীত বিভিন্ন পদক্ষেপ কিছুটা হলেও এ মন্দা অবস্থা কাটিয়ে উঠতে সাহায্য করছে।
জাহাজ রপ্তানির জন্য কয়েকটি দেশের কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে ১৫০ থেকে ২০০ মিলিয়ন ডলারের কার্যাদেশ প্রাপ্তির অপেক্ষায় আছে এফএমসি। করোনার কারণে উক্ত কার্যাদেশ প্রাপ্তিতে কিছুটা বিলম্ব হচ্ছে বলে জানান এফএমসি ডকইয়ার্ড কর্তৃপক্ষ।
২০০৬ সালে চট্টগ্রামের বোয়ালখালীর পশ্চিম গোমদন্ডিতে কর্ণফুলী নদীর তীরঘেঁষে প্রায় ৬৫ একর জমির ওপর গড়ে তোলা হয়েছে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড। যা দক্ষিণপূর্ব এশিয়ার সবচেয়ে বড় শিপইয়ার্ড হিসেবে স্বীকৃত। এযাবৎ সরকারি-বেসরকারি স্বায়ত্বশাসিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রায় ২০০টি নতুন জাহাজ তৈরি করেছে এবং বর্তমানে এই ইয়ার্ডে প্রায় ১২০০ কোটি টাকার কাজ চলমান রয়েছে। অত্যাধুনিক এলটিসি ভ্যাসেল, টিসিভি ভ্যাসেল, অত্যাধুনিক মাল্টিপারপাস ভ্যাসেল, ব্যারাক বার্জ, মাল্টিবিম ইকোসাউন্ডার সংযুক্ত সার্ভে ভ্যাসেল, কন্টেইনার শিপ, অয়েল ট্যাংকার, যাত্রীবাহী জাহাজ, ফিশিং ট্রলার, ড্রেজার, টাগ বোট, পন্টুনসহ মেরিন অবকাঠামোগত নির্মাণ করে এর মধ্যে সফলতা দেখিয়েছে এফএমসি ডকইয়ার্ড লিমিটেড। এখন দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও জাহাজ রপ্তানি শুরু করতে যাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি।
Read More: https://www.kalerkantho.com/online/country-news/2021/08/18/1064695